কন কনে শীতের মধ্যেই বৃষ্টির আশংকা
বাংলা পঞ্জিকায় এখনো পৌষ আসেনি।অথচ দিনভর কুয়াশার চাদর;সঙ্গে উত্তুরে হাওয়া।দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের অনুভূতিও বাড়ছে।জমাট বাঁ’ধা কুয়াশা আর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শীত সে তুলনায় বেশিই অনুভূত হচ্ছে।
শীত আরো বাড়বে,তবে অল্প অল্প করে।দেশের প্রতিটি জে’লায়ই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে।আর এ শীতের মধ্যেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়,মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।এর একটি বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে।রংপুর,রাজশাহী ও ময়মনসিংহে বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
আজ শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৬,যা গতকাল ছিল সীতাকুণ্ডে ১৪ দশমিক ৩।এদিকে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ৬,আজ তা কমে ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে।
গত ২৮ নভেম্বর তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে;এবারের মৌসুমে এটাই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।তবে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ আসতে সপ্তাহ খানেক বাকি রয়েছে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে।২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল।এর আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।