বাঙালি কখনো মা'থানত করেনি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে পা’কিস্তানের বর্বর বাহিনীর বি’রুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাসের র’ক্তক্ষয়ী যু’দ্ধ শেষে আম’রা ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। এর আগে ১৯৭১ সালের ৭ মা’র্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো জনতার সামনে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা ঘোষণা দিয়েছিলেন: ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ২৬-এ মা’র্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পা’কিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা গ্রে’প্তার করে। তারপর তাঁকে পা’কিস্তানে নিয়ে গিয়ে অন্ধকার কারাগারে নিক্ষেপ করে। প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ফাঁ’সিকাষ্ঠে ঝুলানোর ষড়যন্ত্র করে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মা’র্চের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতা যু’দ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের যে দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সেই নির্দেশকে শিরোধার্য করে শত্রুর মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন।
বিভিন্ন বাহিনীতে কর্ম’রত অধিকাংশ বাঙালি সদস্য স্বাধীনতার পক্ষে প্রতিরোধ যু’দ্ধে সামিল হন। বাংলার কৃষক, বাংলার শ্রমিক, ছাত্র-যুবক, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, পেশাজীবীরা- সেদিন জীবনের মায়া ত্যাগ করে মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযু’দ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। দখলদার বাহিনী এবং তাঁদের এদেশীয় দোসর-রাজাকার-আলবদর, আল-শামস বাহিনীর সদস্যরা লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষকে হ’ত্যা করে। হাজার হাজার নারীর সম্ভ্রমহানি করে, এক কোটি মানুষকে দেশ ছাড়া করে। আরো ৩ কোটি মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়। পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করে তারা কোটি কোটি বাড়িঘর লুট করে আ’গুন ধরিয়ে দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাঙালি জাতি মা’থানত করেনি। অ’ত্যাচার-নি’পীড়ন যত বেড়েছে, বাংলার মুক্তিকামী মানুষ ততই ম’রিয়া হয়ে শত্রু বাহিনীর উপর প্রতি-আক্রমণ শানিয়েছে। অবশেষে মুক্তিবাহিনী এবং ভা’রতীয় মিত্রবাহিনীর কাছে দোর্দ-প্রতাপশালী পা’কিস্তানি সে’নাবাহিনী আত্মসম’র্পণ করতে বাধ্য হয়। বাঙালি অর্জন করে চূড়ান্ত বিজয়। বাংলাদেশ হয় শত্রুমুক্ত।