থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা!
জাল টাকা এবং ভা'রতীয় জাল রুপি তৈরির কারখানায় অ'ভিযান চালিয়ে তিন নারীসহ ৯ জনকে গ্রে'ফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পু'লিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর জুরাইন এলাকা থেকে তাদের গ্রে'ফতার করে ডিবির গুলশান বিভাগ।
ডিবি জানায়, এই চক্রের সদস্যরা এর আগেও বিভিন্ন সময় জাল টাকা এবং রুপি তৈরি করে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার অ'ভিযোগে গ্রে'ফতার হয়েছিল। জামিনে বের হয়ে তারা আবারও একই কাজ করছে। তাদের বি'রুদ্ধে প্রায় ডজনখানেক মা'মলা রয়েছে। সাধারণ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণ জাল নোট এবং ভা'রতীয় জাল রুপি ছড়িয়ে দিতে মাঠে নামে চক্রের সদস্যরা। আসন্ন থার্টি ফার্স্ট নাইট এবং নববর্ষকে টার্গেট করে তারা বিপুল পরিমাণ জাল নোট ও জাল রুপি তৈরি করছিল।
অ'ভিযানে গ্রে'ফতার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- জাল টাকা এবং রুপি তৈরির অন্যতম গুরু জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, বাদল খান, মালেক ফরাজী, জসিম উদ্দিন ও শিহাব। গ্রে'ফতার অন্য তিনজন নারী। অ'ভিযানে তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ জাল ভা'রতীয় জাল রুপি, ৩২ লাখ জাল টাকা, বিপুল পরিমাণ জাল মুদ্রা তৈরির বিশেষ ধরনের কাগজ, নিরাপত্তা সুতা, বিভিন্ন ধরনের রং, কেমিক্যালস, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, লেমিনেশন মেশিন, কা'টার, বিভিন্ন রকমের ডাইসসহ জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন উপকরণ উ'দ্ধার করা হয়। এসব উপকরণ দিয়ে আরও কয়েক কোটি জাল টাকা ও রুপি তৈরি করা সম্ভব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকাও উ'দ্ধার করা হয়।
ডিবির গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, উ'দ্ধারকৃত জাল টাকার মধ্যে ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট, জাল রুপির মধ্যে ৫০০ রুপির জাল নোট রয়েছে। চক্রের সদস্য বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ঢাকা জে'লা, নারায়ণগঞ্জ জে'লা, গাজীপুর জে'লা এবং ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থেকে জাল টাকা তৈরি করত। আসন্ন থার্টি ফার্স্ট ও নববর্ষ উপলক্ষে জাল রুপি এবং টাকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা মহানগরীর জুরাইন এলাকার শহীদ শাহাদত হোসেন রোডে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এ কাজ করছিল তারা।
ডিবির কর্মক'র্তারা জানান, গ্রে'ফতার ব্যক্তিদের প্রায় সবার বি'রুদ্ধে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জে'লায় ডজনখানেক মা'মলা রয়েছে। জামিনে থেকেও বেশি টাকা উপার্জনের লো'ভে তারা বারবার জাল টাকা এবং রুপি তৈরি করছিল। জাকির ২০১৯ সালেও তার স্ত্রী' এবং অ'পর সহযোগীসহ ডেম'রা এলাকার একটি অ'ত্যাধুনিক বাসায় জাল রুপি তৈরি করার সময় গ্রে'ফতার হয়েছিল। জাকির একজন ফিনিশার, হাতুড়ে ইঞ্জিনিয়ার এবং জাল টাকা ও রুপি তৈরির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। ওবায়দুল ও জসিম জাল টাকা তৈরির কারখানায় বিশেষ কাগজ, নিরাপত্তা সুতা তৈরি এবং অন্য কাজ করত। বাদল ঢাকা, সাভা'র ও মানিকগঞ্জের পাইকারি ডিলার। শিহাব রাজধানীর পাইকারি ডিলার। সাগর নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে ডিলার। জামাল বরিশালসহ দক্ষিণ অঞ্চলে জালনোট সরবরাহকারীদের মূলহোতা। চক্রটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গার খোলা বাজার, বিপণি বিতান, যানবাহনের চালক ও হেলপারদের বিভিন্ন কৌশলে ধোকা দিয়ে জাল টাকা বিক্রি করে।