বিপদ যত বড় হোক না কেন, আল্লাহর রহমত তার চেয়ে অনেক বড়

বিশ্বজুড়ে করো'নাভাই'রাস পরিস্থিতি ক্রমেই খা'রাপ থেকে খা'রাপতর হচ্ছে। বিভিষিকাময় সময় পার করছে বিশ্ব। সাড়ি সাড়ি লা'শ। অযত্নে অবহেলায় পরে আছে ম'র্গে।

চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীর জন্য আহাজারি করছেন। এই সংকটের কারণ- নভেল করো'নাভাই'রাস। এতে মোট মৃ'তের সংখ্যা ১১ হাজার ৩৮৫ জনে পৌঁছেছে।

আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯১ হাজার ৫৩৩ জন। দ্রুত ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে এবং বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রা'ণহানি ঘটায় ভাই'রাসটিকে মানবতার শত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এমতাবস্তায়, ম'সজিদে হারাম ও ম'সজিদে নববির প্রধান ই'মাম শায়খ ড. আব্দুর রহমান সুদাইসি দিন দিন কাবা শরিফ ও ম'সজিদে নববি মু'সল্লিহীন হয়ে যাওয়ায় আগেবপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তার আবেগমাখা প্রর্থণা সবার হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ টুইটারে তিনি উল্লেখ করেন-

হে আল্লাহ! আপনার ঘর থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করবেন না। – হে আল্লাহ! আমাদের পাপের কারণে পবিত্র ম'সজিদের নামাজের জামাআত থেকে বঞ্চিত করবেন না। – হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমাদের আবার ফিরিয়ে নিন। – হে আল্লাহ! আমাদের তাওবা কবুল করুন। – হে আল্লাহ! আমাদের এবং মু'সলিম উম্মাহকে সব ধরণের মহামা’রি ও দূরারো’গ্য ব্যা’ধি থেকে হেফাজত করুন।

কাবা শরিফের প্রধান ই'মাম শায়খ আব্দুর রহমান আস-সুদাইসির আবেগঘন এ আহ্বানগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এভাবেই ওঠে এসেছে। আল্লাহর কাছে তিনি আরও আহ্বান করেন- – হে আল্লাহ! মু'সিবত দিন দিন কঠিন থেকে কঠিন হচ্ছে। চারদিক অন্ধকার হয়ে আসছে। তুমি ছাড়া আমাদের ফরিয়াদ শোনার আর কেউ নেই হে আল্লাহ!, তুমি ছাড়া আর কে আছে? হে আল্লাহ! যার কাছে আম'রা সাহায্য চাইবো। – হে আল্লাহ! আমাদের এ অবস্থার উপর দয়া করুন। আমাদের অক্ষমতাগুলো দূর করে আমাদের ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! তুমিই আমাদের অ'ভিভাবক।

শায়খ সুদাইসি আবেগঘন সেরা যে আবেদনে মু'সলিম হৃদয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে তাহলো- হে আল্লাহ! এই বিপদ মহামা’রির কারণে তোমা'র ঘরে যেতে না পারার ব্যা’থা আর সইতে পারছি না। হে মহান শক্তিমান, দয়া করে এই মহামা’রি দূর করে দাও।’ এদিকে কাবা শরিফের আজান পরিবর্তন স'ম্পর্কে টুইটে তিনি আরও লেখেন, ‘আজ থেকে আম'রা মুয়াজ্জিনকে এ শব্দ বলতে শুনবো যে, ‘সাল্লু ফি রিহালিকুম’। অর্থাৎ নিজ নিজ জায়গায় নামাজ পড়ে নাও’।

আরেক টুইটে তিনি লেখেন- ‘তুমি থাকতে কার কাছে অ'ভিযোগ করব আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কাছে হাত পাতবো হে আল্লাহ! তুমিই তো একমাত্র মাবুদ। তোমাকে ছেড়ে আম'রা কার এবাদত করব? তোমা'র উপরই আমাদের সব আশা-ভরসা। হে আল্লাহ! আমাদের সেসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত কর, যারা নেয়ামত পেলে শোকর আদায় করে। বিপ’দে সবর করে। গোনা’হ হয়ে গেলে তওবা করে।

প্রা’ণঘাতী মহামা’রি করো'নাভাই’রাসের এ বি’পদ মুহূর্তে তিনি বেশি বেশি এ দোয়া পড়তে গুরুত্বারোপ করেন। আর তাহলো- لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِالله

উচ্চারণ : ‘লা হাউলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।’ অর্থ : ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি নেই, কোনো ভরসা নেই, যিনি মহান ও সর্বশক্তিমান।’

এ দোয়া স'ম্পর্কে তিনি টুইটে লেখেন- ‘লা হাওলা’ পড়ার মাধ্যমে কত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং আল্লাহর প্রশান্তি, দয়া ও ম'দদ পাওয়া যায় তা যদি মানুষ জানতো তবে এ দোয়া এমনভাবে পড়তো যে, মুহূর্তের জন্য বিরাম নিতো না। বরং চলতে ফিরতে, উঠতে বসতে সব সময় ‘লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম’ পড়তো।

করো'না থেকে মুক্তিতে তিনি আল্লাহর কাছে এভাবে আবেদন করেন- হে আল্লাহ! তোমা'র কাছেই আমানত রাখছি এই পবিত্র নগরি হারাম শরীফ ও তার বাসিন্দাদের। নারী পুরুষ যুবক-বৃদ্ধ-শি'শু, ঘর-বাড়ি, আকাশ-মাটি সবকিছুই তোমা'র কাছে আমানত রাখলাম। দয়া করে তুমি এগুলোকে মহামা’রি থেকে হেফাজত কর। তোমা'র মহান কুদরতে তুমি করো'নাভাই’রাস দূর করে দাও।’

পরিশেষে সবার জন্য সাহস যোগাতে আশ্বস্থ করে লেখেন- বিপদ যত বড় হোক, তা চিরদিনের নয়। বরং বিপদ যত বড় হোক না কেন, আল্লহর রহমত তার চেয়ে অনেক বড়। আল্লাহর ইচ্ছায়, আমাদের মুক্তি অ'তি কাছেই। সুতরাং হতাশ হবেন না। অধৈর্য হবেন না। অস্থিরতা প্রকাশ করবেন না। আল্লাহকে স্ম'রণ করতে থাকুন। আল্লাহর উপর ভরসা রাখু'ন। আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর নিজের সবকিছু সমা'র্পণ করুন। অন্যকেও আল্লাহর ওপর ভরসা করতে নিশ্চিন্ত করুন। আমিন।

Back to top button
error: Alert: Content is protected !!