বাবার বাড়িতে শায়িত হলেন সেই শিক্ষক খাইরুন নাহার
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজে'লার গুরুদাসপুর এম হক কলেজের শিক্ষক খাইরুন নাহারের ময়নাত'দন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (১৪ আগস্ট) এশার নামাজের আগে বাবার বাড়ির এলাকায় আবু বকর সিদ্দিকী' কওমি মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে খামা'র নাচকৈড় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ বিষয়টি গুরুদাসপুর থা'নার ভা'রপ্রাপ্ত কর্মক'র্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ময়নাত'দন্ত শেষে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতা'লে ময়নাত'দন্তকারী চিকিৎসক (আরএমও) সামিউল ইস'লাম শান্ত জানান, শিক্ষক খায়রুন নাহারের ময়নাত'দন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ম'রদেহের শরীরে আ'ঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বা'সরোধ হওয়ার কারণেই তার মৃ'ত্যু হয়েছে। তারপরও ভিসেরা রিপোর্ট এলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ময়নাত'দন্ত করা হয়।
নাটোর সদর থা'নার ওসি (ত'দন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার বিকেলে ম'রদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। ওই সময় ম'রদেহের গলায় একটি দাগ ছাড়া অন্য কোনো জ'খম বা আ'ঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বগুড়া সিআইডির একটি টিম।
পরে নাটোর সদর হাসপাতা'লে ময়নাত'দন্ত শেষে পরিবারের কাছে ম'রদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থা'নায় অ'পমৃ'ত্যুর মা'মলা হয়েছে। ময়নাত'দন্তের রিপোর্ট ও ত'দন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাজি অফিসে গিয়ে কলেজছাত্র মামুন ও শিক্ষক খায়রুন নাহার বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাস পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এর এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষক নাহারের সঙ্গে একই উপজে'লার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ স'ম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
বিয়ের ঘটনা জানাজানি হলে মামুনের পরিবার মেনে নিলেও শিক্ষকের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। এর আগে ওই শিক্ষকের বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘা উপজে'লার এক ব্যক্তির সঙ্গে। পরে তাদের বিচ্ছেদ হয়।