খায়রুন নাহার-মামুনের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না: এসপি
শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪৫) ম'রদেহ উ'দ্ধারের ঘটনায় আ'ট'ক স্বামী মামুন হোসেনকে (২২) ৫৪ ধারায় গ্রে'ফতার দেখিয়ে আ'দালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পু'লিশ।
সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে মামুনকে আ'দালতে নেওয়া হয়। কিন্তু ছুটির দিন হওয়ায় বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে তাকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেম উদ্দিনের আ'দালতে হাজির করা হয়। বিচারক শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আ'সামিপক্ষের আইনজীবী গো'লাম সারোয়ার স্বপন বলেন, ‘মামুন হোসেনের বি'রুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অ'ভিযোগ আনতে পারেনি পু'লিশ। এ কারণে ৫৪ ধারায় তাকে আ'দালতে পাঠানো হয়। সুতরাং তার জামিন পাওয়ার আম'রা হকদার। মঙ্গলবার পুনরায় জামিনের জন্য আবেদন করা হবে।’
কোর্ট দারোগা আরিফুল ইস'লাম বলেন, ‘যেহেতু খায়রুন নাহারের মা'মলা'টি ত'দন্ত চলছে, সে কারণে তাকে জামিন দেওয়ার বিরোধিতা করা হয়েছে। আ'দালত তার জামিন নামঞ্জুর করেছেন।’
নাটোর সদর থা'নার ভা'রপ্রাপ্ত কর্মক'র্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, খায়রুন নাহারের মৃ'ত্যুর ঘটনায় তার চাচাতো ভাই গুরুদাসপুর উপজে'লার খামা'র নাচকৈড় গ্রামের সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে একটি ইউডি (অ'পমৃ'ত্যু) মা'মলা করেছেন।
এর আগে রোববার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে পু'লিশের অ'প'রাধ ত'দন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে। পরে ম'রদেহ নাটোর সদর হাসপাতা'লে ময়নাত'দন্তের জন্য পাঠানো হয়।
নাটোর হাসপাতা'লের আবাসিক চিকিৎসা কর্মক'র্তা (আরএমও) ডা. সামিউল ইস'লাম শান্ত জানান, তিন সদস্যের একটি চিকিৎসক দল খায়রুন নাহারের ময়নাত'দন্ত করে। পরে পরিবারের কাছে ম'রদেহ হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘খায়রুন নাহারের ম'রদেহে আ'ঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বা'সরোধ হওয়ার কারণেই তার মৃ'ত্যু হয়েছে। তারপরও ভিসেরা রিপোর্ট এলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’
রাতেই খায়রুন নাহারের ম'রদেহ তার বাবার বাড়ি গুরুদাসপুর পৌর সদরের খামা'র নাচকৈড় মহল্লায় নেওয়া হয়। পরে আবু বকর সিদ্দিকী' কওমি মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে নাচকৈড় কবরস্থানে ম'রদেহ দাফন করা হয়।
আগের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ফেসবুকে মামুন হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় খায়রুন নাহারের। পরে তাদের মধ্যে প্রে'মের স'ম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাজি অফিসে গিয়ে তারা গো'পনে বিয়ে করেন।
সম্প্রতি বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হয়। এ অসম বিয়ে মামুনের পরিবার মেনে নিলেও খায়রুন নাহারের পরিবার মেনে নেয়নি। ফলে তারা নাটোর শহরের বলারীপাড়া এলাকায় মোল্লা ম্যানশনের চারতলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। রোববার সকালে ওই ফ্ল্যাট থেকে খায়রুন নাহারের ম'রদেহ উ'দ্ধার করা হয়।
খায়রুন নাহার গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি একই উপজে'লার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছে'লে।
এ বিষয়ে নাটোরের পু'লিশ সুপার লিটন কুমা'র সাহা জাগো নিউজকে বলেন, পু'লিশের একাধিক টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সিসিটিভির ফুটেজও পাওয়া গেছে। আ'ট'ক মামুনকে ৫৪ ধারায় গ্রে'ফতার দেখানো হয়েছে।
পু'লিশ সুপার আরও বলেন, মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। খায়রুন নাহারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মামুন নামেমাত্র ব্যবসা করতেন। খায়রুন নাহার তার বড় ছে'লে বৃন্তকে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য দুই লাখ টাকা মামুনের সম্মতি চান। কিন্তু মামুন ওই টাকা দেননি। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে মামুন রাগ করে রাত ২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে ভোর ৬টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন খায়রুন নাহার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁ'স দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ত'দন্ত চলছে।