একসাথে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হারিয়ে আহাজারি থামছেই না বেঁচে যাওয়া নবদম্পতির
গতকাল বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেট কারে ফ্লাইওভা'রের গার্ডার পড়ে পাঁচ জনের মৃ'ত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান নববিবাহিত দম্পতি হৃদয় ও রিয়া। এদিকে একসাথে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হারিয়ে আহাজারি থামছেই না বেঁচে যাওয়া নবদম্পতির। জানা গেছে, তাদের রাজধানীর বেসরকারি এশিয়া হাসপাতা'লে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া তারা দুজনই আশ'ঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। গত শুক্রবার ১২ আগস্ট মো. হৃদয় ও রিয়া মনির বিয়ে হয়।
গতকাল সোমবার ১৫ আগস্ট হতাহত হওয়া ব্যক্তিরা ঢাকায় বউভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মেয়ের বাড়ি ফিরছিলেন। হৃদয়ের পরিবার দক্ষিণখানের কাওলা আফিল মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। আর রিয়ার আশুলিয়ার খেজুর বাগানে আফসার উদ্দিন চেয়ারম্যানের বাড়ি।
এদিকে হৃদয়ের চাচাতো ভাই রাকিব গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা দুর্ঘ'টনার খবর পান। কিন্তু অনেক সময় পর গাড়ি থেকে ম'রদেহ বের করা হলো। ভেতরে কেউ বেঁচে থাকলেও থাকতে পারতো। অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এ কাজ করা হচ্ছে। না হলে দুর্ঘ'টনা ঘটতো না। আম'রা এ বিচার কার কাছে দেব? নি'হতরা সবাই কোন না কোনভাবে আত্মীয়-স্বজন।
এই ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে থাকা প্রাইভেট কারটি বের করে আনা হয় ফায়ার সার্ভিস ও সরকারের অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে। এরপরই মূলত প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে একে একে ম'রদেহগুলো বের করে আনে পু'লিশ। দুর্ঘ'টনার কারণে উত্তরা এলাকায় যানজট দেখা দিয়েছে। রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা।
এদিকে, নি'হত হৃদয়ের বাবা রুবেল হোসেন (৬০), হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা (৪০), রিয়া মনির খালা ঝর্ণা (২৮), ঝর্ণার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়ার (২) ম'রদেহ ময়না ত'দন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ম'র্গে নেওয়া হয়েছে।