বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিতে না পেরে পদ্মাসেতু থেকে ঝাঁপ
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিতে না পেরে পদ্মা সেতু থেকে লাফ দিয়েছেন মো. নুরুজ্জামান (৩৮) নামের এক গার্মেন্ট'কর্মী। গতকাল সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নদীতে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।মা'ওয়া নৌ-পু'লিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আরিফ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নুরুজ্জামানের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থা'নার কাঁচপুর এলাকায়। ঢাকার ডেম'রা এলাকার একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে আয়রনম্যান পদে চাকরি করেন তিনি।
এসআই মো. আরিফ হোসেন বলেন, রবিবার(১৪ আগস্ট) রাতে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার জন্য একটি প্রাইভেট'কার ভাড়া করেছিলেন নুরুজ্জামান। সোমবার ভোরে ওম'র ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যান তিনি। কিন্তু ফুল দেওয়ার জন্য অনুমতি কার্ড না থাকায় সেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পদ্মা সেতু দিয়ে ফেরার পথে চলন্ত গাড়ির দরজা খুলে ঝাঁপ দেন তিনি। তিনি বলেন, ঝাঁপ দেওয়ার আগে তিনি মোবাইলে ভিডিও করেছিলেন। সেখানে তিনি বলছিলেন, শেখ মুজিবুর রহমান সবার। আম'রা কেন ফুল দিতে পারব না?
গাড়িতে নুরুজ্জামানের পাশে থাকা ওম'র ফারুক বলেন, সকাল ৭টায় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা করে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছাই সকাল সাড়ে ১০টায়। এরপর সেখানে ২ ঘণ্টার মতো অবস্থান করে চেষ্টা করি ফুল দিতে। কিন্তু আমাদের কাছে কোনো কার্ড না থাকায় আম'রা ফুল দিতে পারিনি। এরপর সেখান থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা করি। তিনি বলেন, সেতুতে অবস্থানকালে গাড়িটি কম গতিতে চলছিল। কারণ সেখানে সেতু কর্তৃপক্ষ ডিভাইডার দিয়ে রেখেছিল। তখন নুরুজ্জামান গাড়ি থামাতে বললেও আম'রা তার কথা শুনিনি। এরপর তিনি কিছু না বলেই দরজা খুলে সেতুতে ঝাঁপ দেন। এরপর ৯৯৯ এ কল দিয়ে জানালে নৌ-পু'লিশ এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন’, যোগ করেন তিনি।
ওম'র ফারুক আরও বলেন, ঝাঁপ দেওয়ার আগে সেতুতে অবস্থানকালে নুরুজ্জামান মোবাইলে নিজের ভিডিও ধ'রাণ করে কথা বলছিলেন। তিনি শেখ মুজিবকে ভালোবাসেন, ফুল দিতে পারেননি তাই ক'ষ্ট পেয়েছেন- এসব বলছিলেন। তিনি বলেন, আমা'র সঙ্গে নুরুজ্জামানের প্রায় চার বছরের স'ম্পর্ক। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জ'ড়িত নন। তবে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে অনেক ভালোবাসতেন। কাঁচপুর এলাকায় তিনি দুই মে'য়ে ও স্ত্রী' নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।