এক পোস্টের জেরে থা'নায় ১৩ ঘণ্টা ঢাবি শিক্ষার্থীকে জেরা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা এক মেসেজের কারণে থা'নায় ১৩ ঘণ্টা আ'ট'কে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিফতাহুল মা'রুফকে।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৪তম ব্যাচের অফিশিয়াল নোটিশ গ্রুপে (মেসেঞ্জার) তার একটি মন্তব্য লিখে মেসেজ দেন।
ওই মেসেজে মা'রুফ লেখেন, সিরিজ বো'মা হা'মলা চালাইছে(চালিয়েছে) জামায়াতুল মুজাহিদিন নামে একটা জ'ঙ্গি সংগঠন, বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে। সেই সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত। এই ক্ষমতায় থাকার জন্য যদি দায়ী তারা হয় তাহলে ২০০৮ সাল থেকে বর্তমানে গুলশানসহ সব জ'ঙ্গি হা'মলার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ।

মা'রুফের সেই মেসেজের স্কিনশট নিয়ে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হোসেন শান্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর মোবাইল ফোন চেক করে তাকে হল প্রভোস্টের দায়িত্বে তুলে দেন তিনি।

প্রভোস্ট এই একটা মেসেজের ভিত্তিতেই রাষ্ট্রবিরোধীতার অ'ভিযোগে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে শাহবাগ থা'নায় হস্তান্তর করা হয় মা'রুফকে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত থা'না পু'লিশ প্রাথমিক ত'দন্তের পর কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় একটি মুচলেকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেন পু'লিশ।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, মাঝেমধ্যেই মেসেঞ্জার গ্রুপে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা, ডিবেট এসব হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে আম'রা এগুলোর চর্চা করার চেষ্টা করি। কিন্তু মা'রুফের ওই বক্তব্যের মধ্যে স'ন্দেহ'জনক কি থাকতে পারে সেটা কোনোভাবেই বোধগম্য নয়।

এ ব্যাপারে শুক্রবার দুপুরে শাহবাগ থা'নার ওসি মওদুত হাওলাদার ত'দন্ত শেষে সাংবাদিকদের বলেন, তার বিষয়ে অ'ভিযোগ পাবার পর আম'রা তার এলাকায় খোঁজ নিয়েছি। তার পরিবারের বড় দুই রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই সংশ্লিষ্টতা আছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে তার কোনো দলের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই। সে যে মন্তব্য করেছে এটা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত মতামত। তাই আম'রা ত'দন্তের পরে তাকে একটি মুচলেকা দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষকদের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ কে এম গো'লাম রব্বানী বলেন, এটা হল প্রশাসনের বিষয়। এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ কথা বলবেন।

এদিকে, কোনো ত'দন্ত না করেই কেন থা'নায় দেওয়া হলো এমন প্রশ্নে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের জায়গা থেকে যতটুকু ত'দন্ত করা সম্ভব আম'রা সেটা করেছি। এরপর পু'লিশের হাতে তুলে দিয়েছি। বাকি কাজ তারা করেছে।

Back to top button
error: Alert: Content is protected !!