‘৩০০ টাকা মজুরি দে, নইলে বুকে গু'লি দে’
চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করার পর চলমান অনির্দিষ্ট'কালের ধ'র্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন। কিন্তু পরক্ষণেই ওই মজুরি প্রত্যাখ্যান করে আবারও আ'ন্দোলনে নেমেছেন তারা। আজ রোববার (২১ আগস্ট) সকালে বুকে ‘৩০০ টাকা মজুরি দে, নইলে বুকে গু'লি দে’ স্লোগান লিখে আবারও লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন শ্রমিকরা। এ সময় তাদের বি'ক্ষোভ করতে দেখা যায়।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্ট'কালের ধ'র্মঘট পালন করছেন চা-শ্রমিকরা। সপ্তাহ'জুড়ে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে চা শ্রমিকরা আ'ন্দোলনে ছিলেন। শনিবার (২০ আগস্ট) শ্রীমঙ্গলে পুনরায় বৈঠকের পর মজুরি ২৫ টাকা বাড়ানো হলে প্রথমে শ্রমিকরা তা মেনে নেন। কিন্তু পরে তা প্রত্যাখ্যান করেন। রোববার থেকে আবারও লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা। এদিকে পরিস্থিতি নিরসনে আ'ন্দোলনরত শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) শ্রীমঙ্গলে এবং বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার শ্রম ভবনে দফায় দফায় বৈঠক করেন শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক ও মালিকপক্ষ। কিন্তু তাদের দাবি মেনে না নেয়ায় কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দেন শ্রমিকরা। তাদের বক্তব্য, পার্শ্ববর্তী দেশ ভা'রত ও শ্রীলংকায় শ্রমিকদের দেয়া মজুরির সঙ্গে কেন বৈষম্য করা হচ্ছে।
পরে আজ শনিবার (২০ আগস্ট) শ্রীমঙ্গল পুনরায় বৈঠকের পর দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়ানো হলে শ্রমিকরা তা মেনে নেন। তবে তারা পরে তা প্রত্যাখ্যান করে মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে আ'ন্দোলন অব্যাহত রাখেন। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালি শাখার সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ‘আমাদের পাশের দেশ ভা'রতে কোনো জায়গায় ২৪০ রুপি, কোনো জায়গায় ২০৩ রুপি আবার শ্রীলংকার মতো দেশে আমা'র জানা মতে সাড়ে ৩০০ রুপি দৈনিক মজুরি আছে। তাহলে আমাদের দেশে এই বৈষম্যটা কেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আমাদের জীবনধারণ করাটাই দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ১২০ টাকা দিয়ে দুই কেজি চাল কেনার পরে আর কিছুই থাকে না।’
এদিকে ১৬৮টি চা বাগানের দেড় লাখেরও বেশি শ্রমিকের কর্মবিরতিতে দৈনিক ২০ কোটি টাকার বেশি মূল্যমানের চা পাতা নষ্ট হচ্ছে। বাগান মালিক কর্তৃপক্ষের দাবি, জিডিপিতে এ শিল্পের অবদান প্রায় ১ শতাংশ। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি চায়ের বাজারমূল্য প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।