‘ছোট পোশাক নারীকে বিজ্ঞানী বানায় না, পণ্য বানায়’
এবার নরসিংদী রেলস্টেশনে স্লিভলেস টপস পড়ার কারণে এক নারীকে হে'নস্তার অ'ভিযোগে আ'ট'ক নারীর জামিন শুনানিতে উচ্চ আ'দালতের বক্তব্যে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। একইসঙ্গে পোশাকের নামে পশ্চিমা অ'পসংস্কৃতি আম'দানিকারকদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন। আজ বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়টির সন্ত্রাস রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে ‘দেশীয় মূল্যবোধবিরোধী’ পোশাকের বি'রুদ্ধে ‘সোচ্চার’ হওয়ায় উচ্চ আ'দালতকে অ'ভিবাদন ও স্যালুটও জানানো হয় এই কর্মসূচিতে।
এ সময় ঢাবি শিক্ষার্থীরা ‘ছোট পোশাক নারীকে বিজ্ঞানী বানায় না, পণ্য বানায়’, ‘দেশীয় মূল্যবোধ বিরোধী সংস্কৃতি গ্রহণযোগ্য নয়’ প্ল্যাকার্ডে হাতে নিয়ে থাকতে দেখা যায়। মানববন্ধনে অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্ম'দ রবিউল করিম বলেন, পোশাকের স্বাধীনতার নামে বর্তমানে আমাদের সমাজে যা হচ্ছে তা খুবই উদ্বেগজনক। এ পরিস্থিতিতে উচ্চ আ'দালতে এত সুন্দর ও গঠনমূলক পর্যবেক্ষণ আমাদের সমাজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।
এদিকে অ'প'রাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, বাক স্বাধীনতার অর্থ যেমন অন্যকে গালি দেওয়া নয়, ঠিক তেমনি পোশাকের স্বাধীনতার অর্থ অন্যকে বির'ক্ত করা নয়। পোশাকের স্বাধীনতার নামে এমন পোশাক পরা কখনই ঠিক না, যা পাবলিক নুইসেন্স বা গণ উৎপাত বা বির'ক্তি তৈরি করে। পাবলিক নুইসেন্স এক ধরনের ক্রা'ইম। অনেকে পোশাকের স্বাধীনতার নামে পশ্চিমা অ'পসংস্কৃতি আম'দানি করে পাবলিক প্লেসে মানুষকে ক'ষ্ট দেয়, এটা অবশ্যই অন্যায়। বাড়িতে সেই স্বাধীনতা পালন করুক, পাবলিক প্লেসে সবার মূল্যবোধ মেনেই তাকে চলতে হবে।
এ সময় আরবি বিভাগের ফজলুল আলম বলেন, পাবলিক প্লেসে পোশাক স্বাধীনতার আড়ালে অনেকের মধ্যে বিপরীত লি'ঙ্গকে সিডিউস (যৌ'ন প্ররোচিত) করার চেষ্টা দেখা যায়। পাবলিক প্লেসে কাউকে সেক্সুয়ালি সিডিউস করা মানসিক নি'র্যাতনের শামিল। একজনকে মানসিক নি'র্যাতনের অধিকার অবশ্যই অন্যজনকে দেয়া হয়নি।
এদিকে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রেহানা রাহী বলেন, সংস্কৃতি অবশ্যই পরিবর্তনশীল। কিন্তু আম'রা যে সংস্কৃতি গ্রহণ করব, সেটা অবশ্যই আমাদের দেশীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। আজকাল পোশাকের স্বাধীনতার নামে যে পশ্চিমা অ'পসংস্কৃতি আম'দানি করা হচ্ছে, তা আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। এটা এক ধরনের কালচারাল টেরোরিজম। মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন আয়েশা জেরিন, মুমতাহিনা শমি, প্রজ্ঞা আহমেদ, উম্মে রুম্মান জেরিন, হেলাল হোসেন, শাকিল আস-সাদ, সায়েম হোসেন, সাকিব খান, সাদিয়া আফরোজ, ইসমত জাহান মিলি প্রমুখ।
এর আগে গত ১৮ মে নরসিংদী রেলস্টেশনে ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনের জন্য অ'পেক্ষা করছিলেন দুই তরুণ ও এক তরুণী। মে'য়েটির পরনে ছিল জিন্স প্যান্ট ও স্লিভলেস টপস। পোশাকের কারণে ওই তরুণীকে হে'নস্তা করা হয় বলে অ'ভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে নারী ও শি'শু নি'র্যাতন দমন আইনের ১০ ও ৩০ ধারায় ভৈরব রেলওয়ে থা'নায় মা'মলা হয়।
তরুণীকে হে'নস্তা ও মা'রধরের ঘটনায় অন্যতম অ'ভিযু'ক্ত মা'র্জিয়া আক্তার ওরফে শিলাকে পু'লিশ ৩০ মে গ্রে'প্তার করে রেব-১১। বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই'কোর্ট বেঞ্চ গত ১৬ আগস্ট মা'র্জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেয়। আ'দালত বলেন, কোনো অনুষ্ঠানেও এ ধরনের পোশাক দৃষ্টিকটু।