শিক্ষার্থীকে শাসন করায় প্রধান শিক্ষককে মে'রে হাসপাতা'লে পাঠালেন অ'ভিভাবক
এবার সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শিক্ষার্থীকে শাসন করায় গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে (৫০) মা'রধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনি শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ২৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে উপজে'লার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর আলহাজ মুজিবর রহমানের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম শামনগর থা'নায় লিখিত অ'ভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে লিখিত অ'ভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার পঞ্চ'ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ক্লাস নেওয়ার সময় প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম সাদা বোর্ডে লিখছিলেন। সে সময় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে সুপার গ্লু লাগিয়ে দেয় এবং তাকে বসতে বলেন। কিছুক্ষণ পর আবার উঠতে বললে, চেয়ারে থাকা সুপার গ্লু আমা'র প্যান্টের সঙ্গে আ'ট'কে যায়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা হাততালি দিতে থাকলে একটি পর্যায়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মৃদুভাবে কয়েকটি মা'রেন।
এ ঘটনার পরের দিন স্কুলের কাজ শেষ করে শ্যামনগর শিক্ষা অফিস যান তিনি। শিক্ষা অফিসের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় গোবিন্দপুর মুজিবর হাজির বাড়ির সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা শিক্ষার্থীর বাবা আলমগীর হোসেন, সাইফুল ইস'লাম, মজিবর রহমান, সেকেন্দার আলীসহ ৪-৫ জন আমাকে বেধড়ক মা'রধর করেন এবং আমা'র কাছে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা দ্রুত উ'দ্ধার করে আমাকে শ্যামনগর হাসপাতা'লে ভর্তি করেন।
সেই লিখিত অ'ভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ রয়েছে, আমি দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। স্কুলের জায়গা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বিভেদ চলে আসছে। স্কুলের জায়গা উ'দ্ধার করার জন্য আমি চেষ্টা করায় আমাকে বিভিন্ন সময় মা'মলা-হা'মলা করে হেনস্থা করে আসছে। তারা আমাকে চাকরি করতে দেবে না বলেও হু'মকি-ধমকি দিচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতা আমা'র বি'রুদ্ধে বিভাগীয় মা'মলা দিয়ে চাকরিচ্যুত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক মিলন হোসেন জানান, শিক্ষক আবুল কাশেম হাসপাতা'লে ভর্তি রয়েছেন। শারীরিক অবস্থা বুঝে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল রাউন্ড শেষে শারীরিক অবস্থা জানানো সম্ভব হবে। এ বিষয়ে শ্যামনগর থা'নার ভা'রপ্রাপ্ত কর্মক'র্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অ'ভিযোগপত্র জমা দিয়েছে শিক্ষক আবুল কাশেম। বিষয়টি অ'ত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।