বাংলাদেশ ব্যাংকে একসঙ্গে অফিস করলেন বাবা-ছে'লে
সম্প্রতি সামাাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্ম'রত বাবা ও ছে'লের একটি ছবি ভাই'রাল হয়েছে। ছবিটির গল্প হলো, ব্যাংকে বাবা ও ছে'লে একসঙ্গে প্রথম অফিস করেছেন। আর সেই দিনটিকে স্মৃ'তিতে ধরে রাখতে ফ্রেমব'ন্দি হয়েছেন দুজনে। যেখানে দুইজনকেই হাস্যোজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে। এরপরই ফেসবুকে ছবিটিকে ঘিরে প্রশংসায় ভাসছেন বাবা-ছে'লে। যেখানে হাজারো রিয়েক্টের সঙ্গে কমেন্টে জমা পড়েছে, ‘গর্বিত বাবার-গর্বিত সন্তান’সহ আরও বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য।
জানা গেছে, বাবা মোহাম্ম'দ গো'লাম ফারুক বাংলাদেশ ব্যাংকের অ'তিরিক্ত পরিচালক হিসেবে কর্ম'রত। একই ব্যাংকে তিন ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তার ছে'লে মোহাম্ম'দ গো'লাম রাব্বানী। মেধাতালিকায় তাঁর অবস্থান ৩২তম।
বাবা-ছে'লের ফ্রেমব'ন্দি হবার বিষয়টি নিয়ে ছে'লে মোহাম্ম'দ গো'লাম রাব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকালে যখন বাবার সঙ্গে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হই, তখন অন্য রকম একটা ভালো লাগা কাজ করছিলো। রিকশায় যেতে যেতে মা'থায় এসেছিল বাবার সঙ্গে একটা ছবি তুলে রাখব। বাংলাদেশ ব্যাংকে নেমেই বাবাকে একসঙ্গে ছবি তোলার কথা বলি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর ছবিটা আমা'র ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করি। কমেন্ট বক্সে এবং অনেকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান। বাবা ছবিটা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মক'র্তাদের গ্রুপে পোস্ট করেন। ছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “বাবা-ছে'লের একসাথে অফিসের প্রথম দিন।’ মূলত সেখান থেকে ছবিটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে ছড়িয়ে পড়ে।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিষয়ে স্নাতক শেষে বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে এমবিএ করছেন গো'লাম রাব্বানী। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেটা সায়েন্সে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক স'ম্পর্কের ওপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেছেন। বুয়েটে স্নাতকের শেষ বর্ষে পড়া অবস্থায় সরকারি চাকরি করবেন বলে মনস্থির করেন রাব্বানী।
রাব্বানী বলেন, ‘বুয়েটের শেষ বর্ষে সিদ্ধান্ত নিলাম, বিদেশে না গিয়ে দেশেই মা–বাবার সঙ্গে থাকব। তাই সরকারি চাকরির প্রস্তুতি শুরু করি। বাবা যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করতেন, তাই একটা স্বপ্নও ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করার। এ ছাড়া সহকারী পরিচালক পদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা অনেক ভালো।’