যত খুশি সেলফি নেন, একতারায় ভোট দেন: হিরো আলম
এবার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে জো'রেশোরে প্রচারণায় নেমেছেন আ'লোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। আজ শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি সকাল থেকে তিনি সম'র্থকদের নিয়ে ট্রাকযোগে বগুড়া-৪ নির্বাচনী এলাকার কাহালু এবং নন্দীগ্রাম উপজে'লার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণায় নেমেছেন। সকালে বগুড়া শহরের রেলগেট হয়ে তিনি ট্রাকযোগে কাহালু সদরে যান।
ট্রাকের ওপর হিরো আলম একতারা হাতে দাঁড়িয়ে ভোট চান। ট্রাকে টানানো মাইকে বাজছিল নির্বাচনী গান। ট্রাক থেকেই হাত নেড়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন হিরো আলম। কাহালুতে পৌঁছার পর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। দোকানে দোকানে গিয়ে ভোট চান। এ সময় নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ তার সঙ্গে সেলফি ও ছবি তুলতে ভিড় করেন। ভক্তরা একতারা প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দেন।
এ সময় হিরো আলম ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যত খুশি সেলফি নেন, একতারায় ভোট দেন।” এবার হিরো আলমের পক্ষে ভোট চেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নামছেন কয়েকজন চলচ্চিত্র শিল্পী। হিরো আলমের সঙ্গে নায়িকা হিসেবে রিয়া মনি সিনেমা করেছেন। তার সঙ্গে মডেল হয়েছেন বেশ কিছু মিউজিক ভিডিওতে। এক সঙ্গে স্টেজ শোও করেছেন। হিরো আলমের সেই নায়িকা রিয়া মনি প্রচারণার শুরু থেকেই সঙ্গী হিসেবে মাঠে আছেন।
হিরো আলম বলেন, “ভোটারদের চ'মক দেখাতে শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া-৬ আসনে অর্থাৎ বগুড়া শহরে একতারা মা'র্কার পক্ষে ভোট চেয়ে মাঠে নামবেন চিত্রনায়িকা মুনমুন। এছাড়া একতারার প্রচারণায় আসছেন চিত্রনায়িকা নাসরিন, কাবিলাসহ অনেক চলচ্চিত্র শিল্পী।” আরও অনেক শিল্পী প্রচারণায় নামতে আগ্রহী হলেও হিরো আলম নিরুৎসাহিত করছেন বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, “তারকাদের খ্যাতির বিড়ম্বনা আছে। প্রচারণার মাঠে নামা'র পর থেকেই ভক্তদের সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা। যেখানেই যাচ্ছি হাজার হাজার মানুষ একনজর দেখার জন্য ভিড় করছেন, সেলফি তুলছেন। এতে ভোটের প্রচারণা চালাতে বেশি সময় লাগছে। বেশি চলচ্চিত্র তারকারা ভোটের মাঠে নামলে ভিড় সামলাবে কে? এসব চিন্তা মা'থায় রেখে অনেক তারকা প্রচারণায় মাঠে নামা'র আগ্রহের কথা জানালেও আমি তাদের নিরুৎসাহিত করেছি।”
হিরো আলম বলেন, “রিয়া মনি শুরু থেকে নির্বাচনী মাঠে থাকলেও ভক্তদের ভিড় সামলাতে তিনি ছদ্মবেশে প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রতিদিনই তিনি একতারা মা'র্কার নির্বাচনী প্রচারণা লাইভ করছেন, ভোটারদের সাড়া ও অনুভূতির ছবি ও ভিডিও ফেসবুক, ইউটিউবে শেয়ার করছেন।”