মাকে আত্মগো'পনে যেতে বিকাশে টাকা পাঠিয়েছিলেন ম'রিয়ম মান্নান: পিবিআই
খুলনার আ'লোচিত ম'রিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমের ‘নি'খোঁজের’ ঘটনায় দায়ের হওয়া মা'মলার ত'দন্ত শেষ করেছে পু'লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ত'দন্তে উঠে এসেছে, পরিক'ল্পিতভাবে ওই ‘অ'পহ'রণ নাট'ক’ করেছিলেন ম'রিয়ম মান্নান। এমনকি ‘আত্মগো'পনে’ যেতে ‘নি'খোঁজের দিন’ মাকে মুঠোফোনের মাধ্যমে এক হাজার টাকাও পাঠিয়েছিলেন তিনি।
পিবিআই এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রহিমা বেগম নি'খোঁজ হওয়ার ২৫ দিন আগে ঢাকার বসুন্ধ'রা এলাকায় মে'য়ে ম'রিয়ম মান্নানের বাসায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বসেই তারা সাজিয়েছিল এই নাট'ক। ২৭ আগস্ট বিকেলে ম'রিয়ম মান্নান ঢাকা থেকে বিকাশের মাধ্যমে খুলনায় মাকে এক হাজার টাকা পাঠান। তার মা সেখান থেকে ৯৮০ টাকা ক্যাশ আউট করেন। রাতে আত্মগো'পনে যান তিনি। বিকাশের অফিশিয়াল তথ্য ত'দন্তের সঙ্গে যু'ক্ত করা হয়েছে।
এর আগে, গত বছরের ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা বেগম নি'খোঁজ হন বলে অ'ভিযোগ করে তার পরিবার। এদিন রাতে দৌলতপুর থা'নায় মায়ের অ'পহ'রণের অ'ভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রহিমা'র ছে'লে মিরাজ আল সাদী। পরে মাকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে ২৮ আগস্ট দৌলতপুর থা'নায় মা'মলা করেন রহিমা'র মে'য়ে আদুরী আক্তার।
ওই মা'মলায় স'ন্দেহভাজন হিসেবে তাদের প্রতিবেশী মঈন উদ্দিন, গো'লাম কিবরিয়া, রফিুকল ইস'লাম পলা'শ, মোহাম্মাদ জুয়েল ও হেলাল শরীফের নাম উল্লেখ করা হয়। তাদের সবাইকেই পু'লিশ গ্রে'প্তার করেছিল। কিছুদিন কারাগারেও ছিলেন তারা। পিবিআই জানায়, প্রতিবেশীদের সঙ্গে ম'রিয়ম মান্নানদের জমিসংক্রান্ত ঝামেলা ছিল। এ নিয়ে রহিমা বেগম আ'দালতে মা'মলা করেছিলেন। ওই মা'মলায় প্রতিবেশীরাই জিতে যাচ্ছিলেন। রহিমা'র জমির অংশ তার মে'য়েরা লিখে নিয়েছিলেন। তাই প্রতিবেশীদের ফাঁ'সাতে তারা এই চক্রান্ত করেছিলেন।
খুলনা পিবিআইয়ের পু'লিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘মা'মলা'টির ত'দন্ত আম'রা শেষ করেছি। পরে পিবিআই সদর দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর রিপোর্ট আ'দালতে জমা দেয়া হবে।’