আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যই করেন: নাসির
চলতি বিপিএলে নাসির হোসেন ব্যাট ও বল হাতে ছিলেন একদন অন্য উচ্চতায়। ১২ ম্যাচের ৪৫.৭৫ গড় ও ১২০.০০ স্ট্রাইক রেটে ৩৬৬ রান এসেছে নাসিরের ব্যাটে। এছাড়া বল হাতে ওভা'র প্রতি ৬.৮১ গড়ে রান দিয়ে ১৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। নাসিরের এমন পারফরম্যান্সের পরও অবশ্য ভালো করতে পারেনি তার দল ঢাকা ডমিনেটর্স। ১২ ম্যাচে কেবল তিনটিতে জিতেছে তারা।
এদিকে অনেকদিন পর পাদপ্রদীপের আলোয় আসা নাসির ছিলেন অধিনায়কও। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অধিনায়কত্ব পেয়ে ‘ওয়াও ফিলিংস’ হচ্ছে বলেছিলেন নাসির। বিপিএল শেষে নিজের নেতৃত্বে কতটুকু সন্তুষ্ট তিনি?
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচের পর নাসির বলছিলেন, ‘আমি সবসময় অধিনায়কত্ব উপভোগ করি। সবসময় দলের ভালোর জন্যই সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি। হয়তো অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত হয় বা ভুল কিছু হয়। আমি আমা'র তরফ থেকে শতভাগ চেষ্টা করি যেন দলের ভালো হয়। আমি খুশি হতাম যদি দল ভালো করতো। যেহেতু ফল আসেনি তাই আমি খুশি নই। আমা'র দল সেরা চারে থাকলে বলতে পারতাম খুশি।’
এ সময় নিজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স নিয়ে নাসির বলেছেন, ‘নিজের পারফরম্যান্সে আলহাম'দুলিল্লাহ। আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমি বলব যে, ভালো পারফরম্যান্স হয়েছে। তবে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। যেমন আজকের ম্যাচটায় আমি জিতিয়ে বের হতে পারলে আরেকটু ভালো লাগতো।’
ঢাকার দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে কেউ কেউ পারফরম্যান্স করেছেন। নাসির তো ব্যাট-বলে দারুণ পেয়েছেন। শেষদিকে রান পেয়েছেন সৌম্য সরকার, ছিলেন মোহাম্ম'দ মিথুনও। বল হাতে তাসকিন আহমেদ ছিলেন দুর্দান্ত। তবুও সফল না হওয়ার পেছনে ভালো বিদেশি না থাকাকেই কারণ মনে করেন নাসির।
তিনি বলেন, ‘আরও ভালো বিদেশি আম'রা আনতে পারতাম। আমা'র কাছে মনে হয় দলটা একদম শেষ মুহূর্তে করেছে। উনারা (মালিকপক্ষ) একদম অনভিজ্ঞ। উনাদের কোনো অ'ভিজ্ঞতাই ছিল না যে দল কেমন করা উচিত, দলে কী' ধরনের ক্রিকেটার দরকার। এদিক থেকে একটু পিছিয়ে ছিলাম। একটা বছর গেল। এটা যদি পরের বছরও থাকে, আরও ভালো পরিকল্পনা করে দল করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমা'র সঙ্গে পরাম'র্শ করেছে। আমি কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম বলেছিলাম। তবে তারা খেলার জন্য ফ্রি ছিল না। কারণ এখন সব জায়গায় খেলা হচ্ছে। যে কারণে সবাইকে পাওয়া যায়নি। যাদের পেয়েছে তাদের আনা হয়েছে।’