নায়ক মান্না প্রয়াণের পনেরো বছর

ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও জনপ্রিয় অ'ভিনেতা মান্না। তার পুরো নাম সৈয়দ মোহাম্ম'দ আসলাম তালুকদার। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দাপুটে এই অ'ভিনেতার প্রয়াণের পনেরো বছর পূর্ণ হলো। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আ'ক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই অ'ভিনেতা।

১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজে'লার এলেঙ্গায় জন্ম নেন মান্না। পরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে ঢাকা কলেজে স্নাতকে ভর্তি হন তিনি।

১৯৮৪ সালে ‘তওবা’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন মান্না। পরে ১৯৮৫ সালে নির্মাতা কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘পাগলী’ ছবিতে কাজ করেন তিনি। ১৯৯১ সালে নির্মাতা মোস্তফা আনোয়ারের ‘কাসেম মালার প্রে'ম’ চলচ্চিত্রে অ'ভিনয় করে দর্শকজনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। ব্যবসায়িকভাবেও সফলতা পায় ছবিটি। এতে চ'ম্পার বিপরীতে অ'ভিনয় করেছিলেন এই অ'ভিনেতা।

চব্বিশ বছরের ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক ছবিতে অ'ভিনয় করেছেন মান্না। তার অ'ভিনীত ‘আম্মাজান’ ব্যাপক জনপ্রিয় এবং বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসা'সফল ছবি এটি।

এ ছাড়া তার আরও কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে- সিপাহী, দাঙ্গা, বাবার কসম, চাঁদাবাজ, কাসেম মালার প্রে'ম, আম্মাজান, কুখ্যাত খু'নি, বীর সৈনিক, লাল বাদশা, শান্ত কেন মাস্তান, ক'ষ্ট, অবুঝ শি'শু, সাজঘর, উত্তরের খেপ ও কাবুলিওয়ালা, দেশপ্রে'মিক, দেশদ্রোহী, ধর, তেজী ও সমাজ কে বদলে দাও, গুন্ডা নাম্বার ওয়ান, ধ্বংস, বাস্তব, স্বামী স্ত্রী'র যু'দ্ধ ইত্যাদি।

মান্না চলচ্চিত্রে অ'ভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ছবিও প্রযোজনাও করেছেন তিনি। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম কৃতাঞ্জলী চলচ্চিত্র। স্বামী স্ত্রী'র যু'দ্ধ, আমি জে'ল থেকে বলছি, লুটতারাজ, দুই বধু এক স্বামী, পিতা মাতার আমানতসহ মোট আটটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন এই অ'ভিনেতা। এ ছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবেও বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

‘বীর সৈনিক’য়ে সেরা অ'ভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ‘আম্মাজান’ ছবিতে শ্রেষ্ঠ অ'ভিনেতা হিসাবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি তিনবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন ও বেশ কয়েকবার বাচসা'স পুরস্কার ও পেয়েছেন এই অ'ভিনেতা।

Back to top button
error: Alert: Content is protected !!