শবে মেরাজের রাতে মুহাম্ম'দ (সা.) যে দোয়া বেশি পড়তেন

মু'সলিম'দের ইবাদত পালন করার রাতগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি রাত হচ্ছে শবে। মেরাজ। এ রাতে আল্লাহর হুকুমে হ'জরত মুহাম্ম'দ (সা.) আরশে আজিম পর্যন্ত গমনের সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন।

তিনি এ রাতে আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। এ কারণেই রাতটি মু'সলমানদের কাছে খুবই পবিত্র।

মেরাজ আরবি শব্দ, এর শাব্দিক অর্থ ঊর্ধ্বগমন। আরবি রজব মাসের ২৭ তারিখ রাতে ম'সজিদে হারাম থেকে ম'সজিদে আকসা হয়ে বোরাকে করে ঊর্ধ্বাকাশ পাড়ি দিয়ে আরশে আজিমে আল্লাহর দিদার লাভ করেন মুহাম্ম'দ (স.)। একেই ইস'লামে মেরাজ বলা হয়।

আল্লাহ বলেন, পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি বান্দাকে তার নিদর্শনগুলো দেখানোর জন্য রাতে ম'সজিদে হারাম থেকে ম'সজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন। যার পরিবেশ পবিত্র, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (সুরা বনি ইস'রাইল : আয়াত-১)

নবুয়তের দশম বর্ষের রজব মাসের ২৭ তারিখ হ'জরত মুহাম্ম'দ (স.)-এর ৫০ বছর বয়সে পবিত্র মেরাজ সংঘটিত হয়।

এ রাতে আল্লাহর রহমত কামনায় মু'সলমানরা ম'সজিদে, নিজগৃহে কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোরআনখানি, জিকির-আজগার এবং ইবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করেন।

এই মেরাজের রাতেই মু'সলমানদের জন্য নামাজ ফরজ করা হয়। এ রাতেই প্রতিদিন পাঁচ বার নামাজ আদায় করার বিধান নিয়ে আসেন হ'জরত মুহাম্ম'দ (সা.)।

এ রাতে হ'জরত মুহাম্ম'দ (স.) যে দোয়া করতেন তাতে রজব ও শাবান মাসের বরকত ও পবিত্র রমজান পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধির আবেদন ফুটে ওঠে। দোয়াটি তিনি নিজে পড়তেন এবং মু'সলিম উম্মাহকে পড়তে বলেছেন।

দোয়াটি হলো- ‘আল্লাহু'ম্মা বারাকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রামাদান। অর্থ, হে আল্লাহ আপনি রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’

রজব ও শাবান মাসে হ'জরত মুহাম্ম'দ (স.) এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন। যা মু'সলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় অ'ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।

হ'জরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, তখন তোম'রা এ রাত ইবাদত-বন্দেগিতে কা'টাও। দিনের বেলায় রোজা রাখ। কেননা, এদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন, কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছ কি? আমি ক্ষমা করব, কোনো রিজিকপ্রার্থী আছ কি? আমি রিজিক দেব, আছ কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উ'দ্ধার করব। এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩৮৪)।

Back to top button
error: Alert: Content is protected !!